কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি;
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে মন্থনা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহেদুল ইসলামের বিরুদ্ধে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ জালিয়াতি’র অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুধু তাই না তিনি নিজেই জালিয়াতি করে প্রধান শিক্ষক পদে দায়িত্ব নিয়ে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ জালিয়াতিসহ নিয়োগ বাণিজ্যে মেতে উঠেছে।
তার এই অপকর্মের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর বিদ্যালয়ের কর্মচারী, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও স্থানীয় লোকজন পৃথক পৃথক লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানাজায়,অত্র প্রতিষ্ঠানে সহকারী শিক্ষক (সমাজ বিজ্ঞান) আজহারুল ইসলাম ও নিম্নমান সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর সেলিন ছাদেকা ২০১৩ সাল থেকে অদ্যাবধি কর্মরত আছেন। তাদের নিকট হতে নিয়োগ প্রক্রিয়া ও এমপিও ভুক্ত করার জন্য দফায় দফায় ৩ লক্ষ ২০ হাজার নেন। পরবর্তীতে আবারো ৫ লক্ষ টাকা তাদের কাছে চাইলে তারা দিতে না পারায় গোপনে সমাজ বিজ্ঞান পদে সহকারী শিক্ষক হিসেবে রুহুল আমিন ও নিম্নমান সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে বহুলুল ইসলামকে ডিজি প্রতিনিধি ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের স্বাক্ষর জালিয়াতি’র মাধ্যমে নিয়োগ প্রদানসহ ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ব্যানবেইসে নাম অন্তর্ভুক্ত করেন। তবে প্রকৃতপক্ষে ২০১৩ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত আজহারুল ইসলাম ও সেলিন ছাদেকা তাদের দুজনের নাম ব্যানবেইসে রয়েছে। এসব অনিয়ম, দুর্নীতি ও নিয়োগ জালিয়াতি শিক্ষকের অপসারণ দাবি জানান।
প্রধান শিক্ষক জাহেদুল ইসলামকে তার মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলে তাকে পাওয়া যায়নি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমি হক বলেন অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।